কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: ‘ডাক্তার কখন আসবে আপনারা বলতে পারবেন। অনেক সময় দাঁড়িয়ে আছি। ক্লিনিক এখনও খুলছে না।’ কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রশ্ন করছেন কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া পশ্চিমপাড়া থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা আমেনা বেগম।
উপজেলার হাতিয়াড়া কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়মিত খোলা হয় না। এলাকাবাসীর এমন অভিযোগ পেয়ে গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সরেজমিনে গিয়ে ক্লিনিকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। বেশ কয়েকজন রোগী ক্লিনিকের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। লোক মারফতে সাংবাদিকদের উপস্থিতি জানতে পেরে বেলা ১১.৮ টায় ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী ইন্দ্রজিৎবিশ্বাস চাবি নিয়ে দৌড়ে এসে ক্লিনিকের তালা খুলে বসেন।
ওষুধ নিয়ে আসা সোনা মিয়া (৮৫) বলেন, ‘আমি ক্যালসিয়াম ওষুধ নিতে ক্লিনিকে এসেছি। কিন্তু ক্যালসিয়াম ওষুধ নাই। এছাড়া প্রায় এসে দেখি ক্লিনিক ঠিকমতো খোলে না। ঘন্টার পর ঘন্টা এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, কমিউনিটি ক্লিনিকটি কখন খোলে আর কখন বন্ধ হয় কেউ তা জানে না। এখান থেকে প্রায়ই রোগীরা ওষুধ ও স্বাস্থ্য সেবা না পেয়ে ফিরে যান। ওষুধ থাকলেও চিকিৎসক নেই, আবার কখনও কখনও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কাঙ্খিত সেবা পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান দেবদুলাল বিশ্বাস বলেন, ‘ক্লিনিকে ঠিকমতো ডাক্তার থাকে না এবং রোগীরা কাঙ্খিত ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পায় না বলে লোকজনের কাছ থেকে প্রায়ই অভিযোগ পাই। তবে আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’
ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার কপিল গাইনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রশিক্ষণ নিতে বরিশালে এসেছি। তবে পরিবার কল্যাণ সহকারী চন্দ্রা মন্ডলকে ক্লিনিক খোলার দায়িত্ব দিয়ে এসেছি।’
চন্দ্রা মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে যোগাযোগ করা যায়নি।
কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল কাইয়ূম তালকদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ক্লিনিক বন্ধ থাকার কথা নয়, তবে আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’